নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : হুগলির সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী এবং ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এর বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করল পুলিশ । ভদ্রেশ্বর তেলিনীপাড়ার ঘটনা নিয়ে হুগলি জেলা শাসক দপ্তরের সামনে ধর্নায় বসেন লকেট অর্জুন।তারপর তেলিনীপাড়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেন।তাদের রাস্তায় আটকে দেয় পুলিশ।লকেট চ্যাটার্জী তার ফেসবুকে কিছু পোস্ট করেন। হুগলি জেলা বিজেপি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে হুগলির সাংসদ বলেন, তেলিনীপাড়ার ঘটনায় মাস্টার মাইন্ডকে ধরতে না পেরে কিছু নিরিহ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।ধৃতদের সব রকম আইনী সাহায্য দেবে বিজেপি।বারবার সিপির সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও দেখা করেননি সিপি হুমায়ূন কবির অভিযোগ করেন লকেট।তিনি বলেন, চন্দননগরের বিধায়ক এলো তার সঙ্গে মিটিং করলেন কিন্তু আমি দেখা করতে চাইলাম উনি দেখা করলেন না।আর এখন পুলিশ মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।
সেই মামলায় পুলিশ কমিশনার অফিসে আসেন লকেট অর্জুন।আইনজীবী সঙ্গে নিয়ে দুই সাংসদ ঢুকে গেলেও বিজেপি নেতা দীপাঞ্জন গুহকে কমিশনার গেটে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। বিজেপি কর্মিদেরও আটকে দেওয়া হয়।বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি।সিপি অফিস থেকে বেরিয়ে চুঁচু্ড়া মহিলা থানায় যান লকেট।৪১ সিআরপিসি তে লকেট অর্জুনকে মামলায় সম্মত হওয়ার জন্য নোটিশ করে পুলিশ।সেখানে তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় সম্মতি(comply) দেন।তেলিনীপাড়ার ঘটনায় অনেক নিরিহ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে পুলিশ,গ্রেফতার করেছে এই অভিযোগে চুঁচু্ড়া থেকে ভদ্রেশ্বর থানায় গিয়ে ঘেরাও কর্মসূচী ছিলো।সায়ন্তন বসুকে গৌরহাটিতে আটকায় পুলিশ।খবর পেয়ে সেখানে লকেট।পুলিশের সঙ্গ বচসা হয়।রাস্তায় বসে পরে।শুরু হয় বিক্ষোভ।জিটি রোড অবরোধ করে বিজেপি কর্মিরা। পরে লকেট ও সায়ন্তন কলকাতায় ফিরে যায়।