বিজেপির দুই সাংসদ লকেট চ‍্যাটার্জী ও অর্জুন সিং এর বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করলো পুলিশ

5th June 2020 হুগলী
বিজেপির দুই সাংসদ লকেট চ‍্যাটার্জী ও অর্জুন সিং এর বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করলো পুলিশ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) :  হুগলির সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী এবং ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এর বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করল পুলিশ । ভদ্রেশ্বর তেলিনীপাড়ার ঘটনা নিয়ে হুগলি জেলা শাসক দপ্তরের সামনে ধর্নায় বসেন লকেট অর্জুন।তারপর তেলিনীপাড়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেন।তাদের রাস্তায় আটকে দেয় পুলিশ।লকেট চ্যাটার্জী তার ফেসবুকে কিছু পোস্ট করেন।  হুগলি জেলা বিজেপি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে হুগলির সাংসদ বলেন, তেলিনীপাড়ার ঘটনায় মাস্টার মাইন্ডকে ধরতে না পেরে কিছু নিরিহ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।ধৃতদের সব রকম আইনী সাহায্য দেবে বিজেপি।বারবার সিপির সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও দেখা করেননি সিপি হুমায়ূন কবির অভিযোগ করেন লকেট।তিনি বলেন, চন্দননগরের বিধায়ক এলো তার সঙ্গে মিটিং করলেন কিন্তু আমি দেখা করতে চাইলাম উনি দেখা করলেন না।আর এখন পুলিশ মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।

 সেই মামলায় পুলিশ কমিশনার অফিসে আসেন লকেট অর্জুন।আইনজীবী সঙ্গে নিয়ে দুই সাংসদ ঢুকে গেলেও বিজেপি নেতা দীপাঞ্জন গুহকে  কমিশনার গেটে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। বিজেপি কর্মিদেরও আটকে দেওয়া হয়।বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি।সিপি অফিস থেকে বেরিয়ে চুঁচু্ড়া মহিলা থানায় যান লকেট।৪১ সিআরপিসি তে লকেট অর্জুনকে মামলায় সম্মত হওয়ার জন্য নোটিশ করে পুলিশ।সেখানে তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় সম্মতি(comply) দেন।তেলিনীপাড়ার ঘটনায় অনেক নিরিহ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে পুলিশ,গ্রেফতার করেছে এই অভিযোগে চুঁচু্ড়া থেকে ভদ্রেশ্বর থানায় গিয়ে ঘেরাও কর্মসূচী ছিলো।সায়ন্তন বসুকে গৌরহাটিতে আটকায় পুলিশ।খবর পেয়ে সেখানে লকেট।পুলিশের সঙ্গ বচসা হয়।রাস্তায় বসে পরে।শুরু হয় বিক্ষোভ।জিটি রোড অবরোধ করে বিজেপি কর্মিরা। পরে লকেট ও সায়ন্তন কলকাতায় ফিরে যায়।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।